ভিডিও

বাবার কাছে থেকে মেজো মেয়েকে নিতে জাপানি মায়ের আপিল

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বাঙালি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকা মেজো মেয়ে লাইলা লিনাকেও নিজের কাছে পেতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। 

আজ সোমবার (১১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য রয়েছে। নাকানো এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে বলেন, জাপানি বড় শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। রায়ে বলা হয়েছে, প্রথম ও তৃতীয় মেয়েকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশে বা যে কোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন। তবে বাবা সন্তানদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। একই ভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন। তবে জাপানি মা দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমানের একক বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ঢাকার জেলা জজ আদালত বাংলাদেশে থাকা জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইনা লিনা জাপানি মায়ের কাছে থাকবে বলে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন ইমরান শরীফ। রিভিশন আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত হাইকোর্ট। গত বছরের ৯ মার্চ জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদন নাকচ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে এ সংক্রান্ত আপিল জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। এসময় পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকবে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত। নাবালিকা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা কোথায় থাকলে কল্যাণ হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে এ রায় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় দেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS