জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের সঙ্গে সময় পার করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আজ রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে ও জাজেস লাউঞ্জে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান বিচারপতিরা।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের কর্মকর্তারা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এর পেছনে তার যে অবিরাম পরিশ্রম, সেটিই শিশুদের বেঝানো। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সহমর্মিতা, বন্ধুদের সহযোগিতা, বিপদে বন্ধুর প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলির কথা উল্লেখ করে তা শিশুদের মধ্যে চর্চার জন্য উৎসাহ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা যেন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি। কেননা ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার পূর্ব শর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা। আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুকে বেহেশতের উচ্চ স্থান দান করেন সেই দোয়া করি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত শিশুদের মাঝে চকলেট বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।