শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি বিকৃত করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, শিক্ষার ব্যবস্থার মাধ্যমে। কারণ পরিকল্পনা ছিল— বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পাকিস্তানমুখি করা, গোঁড়া ও উগ্র মৌলবাদী বানানো।
পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। ইতিহাসকে বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিয়ে তার সহকর্মীদের মুছে দিয়ে এক ধরনের সামরিকীকরণ করার অপচেষ্টা ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থা যদি দেখি তাহলে মুজিবনগর সরকার ছিল রাজনৈতিক সরকার। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেই সরকারের সবাই রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন, তারা জনযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। এসব কিছু মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার সব অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যে কী পরিমাণ হেপোক্রেসি লুকিয়ে আছে তা আমরা দেখতে পাই।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।