বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দফতর সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে প্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।
২. এছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আবারার হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দফতর সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। আর ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। এরপরই ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেন শিক্ষকরা। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করার মৌখিক ঘোষণা দেন বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের পরিচালক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীকে শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দেন শিক্ষকরা। এরপর মধ্যরাতে বুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের নামে বরাদ্দ দেওয়া সিট বাতিল করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।