ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩১ মার্চ মাহমুদ আব্বাসকে এ চিঠি পাঠানোর কথা বুধবার (৩ এপ্রিল) জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এ সুযোগে গত ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজা এবং পশ্চিম তীরে নিরবচ্ছিন্ন ইসরায়েলি গণহত্যায় শিশু, নারী ও পুরুষসহ নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানির মর্মান্তিক ক্ষয়ক্ষতিতে ফিলিস্তিনের সরকার ও ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি ১৯ মার্চ, ২০২৪ তারিখে আপনার দূত এবং ফাতাহ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আমাকে লেখা চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করছি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বেসামরিক জীবন ও অবকাঠামো রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ‘ডে আফটার’ যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন উল্লেখ করে মাহমুদ আব্বাসের গভীর উদ্বেগকে সমর্থন করে বলেন, পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের অবমাননা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, এটা হতাশাজনক যে পরিকল্পনাটি সংঘাত বন্ধে দীর্ঘস্থায়ী কোনো বাস্তব পথ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বৈধ জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে দমন করা এবং ভূমির ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী করা।
শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রেক্ষাপটে আমরা আমাদের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি যে আমরা গাজার যে কোনো অংশ পুনরুদ্ধার করার জন্য ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মৃত, গাজাবাসীদের তাদের নিজস্ব অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হবে না, গাজা ভূখণ্ড ছোট করা হবে না, ইউএনআরডব্লিউএ-এর বাস্তবায়নের ক্ষমতার উপর কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। ম্যান্ডেট, এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রত্যাখ্যান করা হবে না।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ইসলাম এবং সব মহান ধর্মের মূল শিক্ষা। এটাকে আমরা সব দ্বন্দ্ব ও ভোগান্তি নিরসনে প্রতিষেধক বলে মনে করি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।