‘ভুল চিকিৎসা হয়েছে, তা বলার অধিকার আমারও নেই, কারো নেই। ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার একমাত্র বিএমডিসির। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকের ওপর যেভাবে আক্রমণ হয়, সেটা খুবই ন্যক্কারজনক।’
গত বুধবার সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে অনুষ্ঠিত ১২তম আন্তর্জাতিক এবং দ্বিতীয় এসিএনএস-বিএসএনএস হাইব্রিড কনফারেন্স ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন আমি পাস করাবই, যেভাবেই হোক। কারণ আমার একটা দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। সেই সঙ্গে রোগীদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও কিন্তু আমার।
’
তরুণ চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে দেশের মানুষ চিকিৎসকসমাজকে সম্মান করবে।
আমরা যদি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সার্ভিস দিই, রোগীদের সেবা দিই, তাহলে মানুষ সম্মান করবে। আমাদের তো কোনো কিছুর অভাব নেই, আমাদের মেধা আছে। সেই মেধা দিয়ে তোমরা সর্বোচ্চ সেবা দাও, তোমাদের সুরক্ষা আমি দেব।
’
কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৪ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সচল থাকলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা অবশ্যই সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হওয়ার পরে আমি যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি, প্রতিটি জায়গায় দেখেছি, সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবদান সবচেয়ে বেশি দরকার।
আমরা যদি তৃণমূল জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাই, তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সচল করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য তাঁদের ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলিটাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশের (আরসিএইচসিআইবি) প্রকল্প পরিচালক ও সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস বলেন, ‘চিকিৎসকরা সমাজেরই অংশ। দেশে অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মনোজাগতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা কিছুটা হতাশ হব। দুর্নীতি ও অন্যান্য যেসব ব্যাধি আমাদের আক্রান্ত করছে, এসব আমাদের সামনের যাত্রাকে পেছনে টেনে রাখছে।’
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পটভূমি, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর দর্শন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।