সর্বশেষ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিরা আমলাদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, আমলাদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কোনো চিন্তা সরকারের নেই জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ কনসেপ্টটা (আইডিয়া) আমরা নিতে পারছি না।’
রোববার (৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে সেখানে অনেকগুলো বিষয় এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর সামনে যখন ডিসিরা আসেন, তখন তারা দেশের নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগটা পান। এটা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। অনেক বিষয় সেখানে আসে। অনেক চাওয়া, অনেক পাওয়া, অনেক প্রত্যাশার বিষয় উঠে আসে। সেখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করেছেন।’
সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্বজনীন, ইউনিভার্সাল থেকে ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটি হচ্ছে মুক্ত একটা জায়গা, যেখানে জ্ঞান অর্জন করবে, মানুষ মুক্ত চিন্তা-ভাবনা করবে। মনের বিকাশটা এখানে এসে ঘটবে, সক্ষম নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে। সেই রকম একটা জায়গা হলো ইউনিভার্সিটি। সব ধরনের মানুষ এখানে থাকতে হবে। মেধাবীদের জায়গা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি। স্পেশাল কারও জন্য একটা ইউনিভার্সিটি...। হ্যাঁ, আর্মিরা ইউনিভার্সিটি পরিচালনা করছে বা অন্যরা করছে। সেক্ষেত্রে তারা বলেছে। আপাতত আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, সে কাজগুলো আমরা করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য আলাদাভাবে এ কনসেপ্টটা আমরা নিতে পারছি না। যখন ইউনিভার্সিটি হবে, সেটি সবার জন্য ইউনিভার্সিটি হবে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাকে পড়াশোনার সুযোগ নিতে হবে। আমরা বিষয়টাকে এভাবেই দেখি।’ ফারহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তাবকেই স্বাগত জানাই। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন যখন সময় সুযোগ হবে, এটা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের করতে হবে। এ মুহূর্তে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।