সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেছেন, ক্ষমা পাওয়ার সময় পাবেন না। ক্ষমতার যত অপব্যবহার করেন, এর জবাব একদিন দিতে হবে। জবাব দিতে পারবেন কী? ।
শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অয়োজিত সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা-নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ ও মিছিল হয়।
এসময় গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়াসহ সবার মুক্তি চাই। শুধু তাই নয়, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা কারাগারে আছেন সবার মুক্তি চাই।
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতই আপনাদের বাঁচিয়েছে, বেঁচে রেখেছে। ফেলানির মরদেহ যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। এটা হতে দেওয়া যায় না।’
বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, যে অত্যাচার করা হয়েছে তারপরও বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়। সেটা দমনোর ক্ষমতা কারো নয়। পার্শ্ববর্তী দেশেরও নেই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ অনেকে।
সমাবেশ শেষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে, ফকিরাপুল মোড় ঘুরে পার্টি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।