সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে সরকারের প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামীকাল শনিবার (১১ মে) বড় সমাবেশ ডেকেছেন তার। এদিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করবেন আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনের গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা খাতুন মুক্তার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চান। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন। সে ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম ও বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
এছাড়া উপস্থিত থাকবেন ডাকসুর সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর শরীফ, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাত অরচি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।
বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান শুভ বলেন, ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে দেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হয়েছে। অথচ চাকরি আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। যৌক্তিক এ দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।