মঙ্গলবার (১৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, সম্প্রতি বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ যাবে। আগে স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ বাদের নিয়ম কার্যকর ছিল।
বাজুস জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণালংকার বিক্রির সময় ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।স্বর্ণালংকার বিক্রির সময় ভারতে ১২ শতাংশ, শ্রীলংকায় ৮ শতাংশ, চীনে ১৫ শতাংশ, ইতালিতে ২০ শতাংশ, হংকংয়ে ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৩৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২০ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি গ্রহণ করা হয় বলেও জানিয়েছে বাজুস।
বাংলাদেশের সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদের নিয়ম কার্যকর এবং স্বর্ণালংকার বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে ৬ শতাংশ মজুরি নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
দেশে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।