স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর। অপরিকল্পিত নগরায়ন যেমন দীর্ঘমেয়াদে কোন সুবিধা বয়ে আনে না, তেমনি পরিবেশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাজুল ইসলাম আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে "নগরায়নে বাংলাদেশ ও নগর পরিবেশ" শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম, আমার শহর উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগে গ্রাম ও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেদের জন্য যেমন অবকাঠামোগত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি গ্রামের স্বকীয়তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেদিকেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জনগনের আশা - আকাঙ্খার পূরণের জন্য গ্রামের মানুষের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়।ঢাকায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে বহুমুখী প্রয়াস ও সম্মিলিত উদ্যোগ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের বাস্তবায়ন ছাড়াও সাবওয়ে ও ঢাকা শহরের চারপাশে রিং রোড করার জন্যও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতি, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিন সংকট পুরো বিশ্বকেই সংকটজনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। স্রোতের প্রতিকূলতায়ও বাংলাদেশের যে অগ্রগতি সেটা অব্যাহত রাখতে সকল পেশাজীবি, শ্রমজীবী, ছাত্র, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস একান্তই অপরিহার্য।
ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাপা'র স্থপতি ইকবাল হাবিব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।