ভিডিও

বিএনপি ক্ষমতা চায় না, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চায় : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৩:৫১ দুপুর
আপডেট: মে ২১, ২০২৪, ০৩:৫১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতা চায় না, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চায়। আর এটি হলে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন; তাদেরকেই মেনে নিব। অপকর্ম করছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় সরকার। সামনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্রের লেবাসে আবারও বাকশাল কায়েম করছে আওয়ামী লীগ এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা বলছেন-নির্বাচনে বিএনপি না আসলে কী করবো! কিন্তু এমন নির্বাচন তারা করছে যে, কোনো দলই সেটিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না। যারাও আছে, তাদেরকে ভাগবাটোয়ারা দিয়ে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে নিজেরা নিজেরা লড়াই করছে আওয়ামী লীগ। যে নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, কোনো পরিবর্তন হবে না, সে নির্বাচনে গিয়ে কী লাভ। তাই জনগণ সে নির্বাচনেও যাচ্ছে না। বিএনপি ক্ষমতা চায় না, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চায়। আর এটি হলে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন; তাদেরকেই মেনে নিব। অপকর্ম করছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় সরকার। সামনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে। সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে, দুর্নীতিসহ নানা কারণে। দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে সরকার। ক্ষমতা ঠিকে রাখার জন্য আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে। ব্যবহার করার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনীকে, ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে। ত্রাস সৃষ্টি করে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তারা। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারাও কিন্তু মনপ্রাণ খুলে কিছু লিখতে পারেন না, ক্ষমতাসীনদের ভয়ে। প্রতিটি শব্দ লিখতে গিয়ে তাদের চিন্তা করতে হয় এই বুঝি তাদের জেলে যেতে হবে কিনা। এ হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা। ব্যাংকের রিজার্ভ তলানীতে এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসেবে আরও খারাপ অবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্নীতির কথা বলায় সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৭০ এর নির্বাচন। মুক্তিযুদ্ধের আগে সত্যিই আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ক্র্যাকডাউনের পরে কেউ ছিলেন না দেশের হাল ধরতে। তখন জিয়াউর রহমান আসেন এবং তিনি সেই সময় দেশের হাল ধরেছিলেন। সব সরকারি কর্মকর্তাকে বাকশালের ফরম দিয়েছিলিন সেইসময়কার প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে জিয়ার কাছেও সেই ফরম এসেছিল। কিন্তু তখন তিনি বাকশালে যোগ দেননি। আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির নেতারা মিথ্যা বলছেন। হীনমন্যতা তাদের মাঝে থাকায় জিয়াউর রহমানকে হেও করে কথা বলেন তারা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS