ভিডিও

শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের দর্শন হতে পারে মুক্তির পাথেয়: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আপডেট: মে ২২, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মানুষের কল্যাণ এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধ আজীবন অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের দর্শন হতে পারে আমাদের মুক্তির পাথেয়।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা ও আন্তর্জাতিক ভেসাক ডে ২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বুদ্ধপূর্ণিমা মহামতি গৌতম বুদ্ধের আর্বিভাব, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণের স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যময় একটি দিন। মহামতি বুদ্ধ পৃথিবীকে সুখী ও শান্তিপূর্ণ করে গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে গেছেন। তিনি লোভ, বিদ্বেষ ও লালসাকে অতিক্রম করে তার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগৎকে আলোকিত করেছেন।পৃথিবীতে আজ যে অশান্তি ও অসহিষ্ণুতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, যুদ্ধবিগ্রহ, ধর্ম-বর্ণ কিংবা জাতিগত হানাহানি, এসব দূর করে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে বৌদ্ধদের নিবিড় সম্পর্ক তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে ৪০০ বছর প্রাচীন বাংলায় রাজত্ব করেছে পাল রাজবংশ। পাল রাজরা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। পাল রাজা ধর্মপাল রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মীয় সম্প্রীতির নীতি গ্রহণ করেছিলেন। প্রজাদের ধর্ম-কর্ম সম্পর্কে সচেতনতার এই ঘোষণা পাল শাসনামলে অনুসৃত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থান ছিল পাল যুগের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনের অধীনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণে বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সংস্কার ও উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদযাপন এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাথেরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন; প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, থাইল্যান্ডের হাইকমিশনার ধর্মপালা ওয়েরাকড্ডি, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নুয়েন মান কুয়ং, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS