সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে ৮ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২৮ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা পর্যন্ত সৌদি আরবে ৮ জন হজযাত্রী মারা যান। তারা সকলেই পুরুষ। ৬ জন মক্কায়, ২ জন মদিনায় মারা যান।
হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে বলা হয়েছে, পবিত্র হজ পালনে গিয়ে মারা যাওয়ারা হলেন- জামাল উদ্দিন (৬৯), তার আইডি নং ১০১৯০৪৮ এবং পাসপোর্ট নং এ ১১২০৬৯০৮। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর ইউনুসখালীতে। তিনি মারা যান ২৬ মে। মো. আলী এমাম ভূঁইয়া (৬৫), পিলগ্রিম আইডি নং ০০৭ ১২৮২ এবং পাসপোর্ট নং এ০৮৪০০৫৪১। তার বাড়ি কুমিল্লার জেলার নোয়াপাড়ার কোতোয়ালি মডেল থানায়। তিনি মারা যান ২৬ মে। মো. শাজাহান (৪৮), পিলগ্রিম আইডি নং ১৪৮৯১৫৭ এবং পাসপোর্ট নং এ০৭৯৬১৮৪০ শামপুর শহীদ মোক্তার হোসেন রোড, কদোমতলী, ফরিদাবাদ, ঢাকা। তিনি মারা যান ২৫। মো. ইদ্রিস (৬৪), তার আইডি নং ০১৭৪০৩৪ এবং পাসপোর্ট নং এ০৫৮৬৯৬৮৪ আমির খান মুন্দর বাড়ি, ওয়ার্ড-৪, উত্তর গুজরা, রাওজান (চট্টগ্রাম)। তিনি মারা যান ২৩ মে।বুলেটিনে আরও জানানো হয়, মো. মুর্তজুর রহমান খান (৬৪), তার আইডি নং ১৪২২০১০ এবং পাসপোর্ট নং এ ১৩১৩১৭৯১ চরছরিয়া, চুরাইন, পি.এস. নবাবগঞ্জ। জেলা ঢাকা। ২৩ মে মারা যান তিনি। মো. লুৎফর রহমান (৬৫), পিলগ্রিম আইডি নং ৮০৩৯৭০৩ এবং পাসপোর্ট নং এ১২৯৬৯৩৮০ থানা পাড়া, ওয়ার্ড নং- ৫, নাগেশ্বরী, পি.এস.:নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। তিনি মারা যান ২১-মে। মো. মোস্তফা (৮৯), পিলগ্রিম আইডি নং ০৬৩ ৪০৫১ এবং পাসপোর্ট নং ইজিও ৭৪০৮৪৭ পাওরো চর জংলা, নতুন রাস্তা, ভোলা সদর, পি.এস.:ভোলা সদর, জেলা: ভোলা। তিনি মারা যান ১৮ মে। মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), পিলগ্রিম আইডি নং ০৮৩১২২১ এবং পাসপোর্ট নং এ১৩৫৬১০৩৪ সাতাশি, কেন্দুয়া, জেলা নেত্রকোনা।
পবিত্র হজ পালনের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।বুলেটিনের তথ্যানুসারে, সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট ৪৬ হাজার ৯৮৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী তিন হাজার সাতশ ৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৪৩ হাজার ২৪১ জন।
হজযাত্রীদের নিয়ে এ পর্যন্ত সৌদি আরব গেছে ১১৮টি ফ্লাইট। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৭টি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২৫টি।এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর কোটা ৪৫৬২ এবং বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ৮০ হাজার ৬৯৫। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।
হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবে যাত্রার ফ্লাইট শুরু হয় ৯ মে। শেষ ফ্লাইট যাবে ১০ জুন। এরপর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। ২২ জুলাই শেষ ফিরতি ফ্লাইট দেশে আসবেন হাজীরা। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।