ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে খালপাড়ে ক্যামেরা বসানো হবে। কেউ ময়লা ফেললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে পদার্পণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। উন্নত বাংলাদেশে জনগণের জন্য সব পর্যায়ে স্মার্ট সেবা নিশ্চিত হবে। স্মার্ট নগর গড়তে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে। আমরা দেখছি অনেকে অসচেতনভাবে গৃহস্থালির বর্জ্য খাল, ডোবা, নালা, ড্রেনে ফেলে দেয়। সারফেস ড্রেনে ও খালে এমন কোনো ময়লা নেই পাওয়া যায় না। এগুলোর কারণেই মূলত পানিপ্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। খালের পাড়ে ক্যামেরা বসানো হবে। কেউ ময়লা ফেললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও আধুনিক নগর গড়তে ডিএনসিসি অনলাইনভিত্তিক স্মার্টসেবা বাড়াতে কাজ করছে। বর্তমান প্রজন্ম সেকেলে পদ্ধতিতে চলতে চায় না। তারা চায় অনলাইনভিত্তিক স্মার্টসেবা। ডিএনসিসিতে এরই মধ্যে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স গ্রহণ এবং ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। ঘরে বসেই নগরবাসী এসব সেবা পাচ্ছেন।
মেয়র আরও বলেন, গতকাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমা ও গাছ উপড়ে পরার তথ্য জানিয়েছেন অনেকে। সঙ্গে সঙ্গে কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে ব্যবস্থা নিয়েছে। একদিনে ২৪ ঘণ্টায় ডিএনসিসির হটলাইনে ২৮১ জন ফোন করেন। তাদের সেবা দেওয়া হয়েছে।
আধুনিক নগর গড়ায় জনগণকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় ৫৪টি খাল ছিল ঢাকায়। সময়ের ব্যবধানে খালগুলো দখল হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশন খালগুলো বুঝে পাওয়ার পর উদ্ধার করে খালের উন্নয়ন করছে। কিছুদিন আগে মোহাম্মদপুরে লাউতলা খালে অবৈধ ১০তলা ভবন ভেঙে দিয়েছি। ভবন সরিয়ে নিতে ১৫ দিন সময় দেওয়ার পরও সরিয়ে না নেওয়ায় নিলামে মাত্র ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।