ভিডিও

আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি জুনে পাওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৭:৫৯ বিকাল
আপডেট: মে ৩০, ২০২৪, ০৭:৫৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই কিস্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে এলে দেশের ক্রমশ কমতে থাকা রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ খানিকটা কমবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ঋণের তৃতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি আগামী ২৪ বা ২৫ জুন অনুমোদনের জন্য আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড সভায় তোলা হবে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করবে আইএমএফ।

গত রোববার আইএমএফ নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভেঙ্কারা সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও একই তথ্য জানিয়েছিলেন। সে দিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আশা করছি এ সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি। আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, আপনারা সঠিক পথে আছেন। আপনারা যে কাজ করছেন সমস্যা সমাধানে সেটাতে আমাদের সমর্থন আছে।’

 

গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়। দুই কিস্তিতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পাওয়া গেছে। তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার বিষয়ে ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফ দল গত মাসে ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষ করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কর্মী-পর্যায়ে চুক্তি করে সংস্থাটি।

আইএমএফের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে রিজার্ভ সংক্রান্ত শর্ত ছাড়া বাংলাদেশ বাকি শর্তগুলো পূরণ করেছে।

 

গত ডিসেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভ ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল। কিন্তু এটি এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমেছে। এর ফলে আইএমএফকে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনতে হয়েছে। সরকারও সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। এর মধ্যে আছে মুদ্রা বিনিময় হারের পুনর্বিন্যাস, ক্রলিং পেগ গ্রহণ ও সুদের হার উদারীকরণ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উচ্চ আমদানি বিল পরিশোধের কারণে রিজার্ভ অনেক কমে গেলে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। সে সময় টাকার দাম অনেক কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এটি স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেয়।

 

আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল বলছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টের ৪১ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৮ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS