জনশক্তি খাতে হয়রানি: মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত
জনশক্তি খাতে হয়রানির অভিযোগে মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। শুক্রবার (৩১ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়াগামী ৩০ হাজার কর্মীর ভাগ্য ঝুলে আছে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে। শুক্রবারের পর আর কর্মী না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তাই শেষ সুযোগে নিতে অন্তহীন অপেক্ষায় হাজারো মানুষ।
করোনা মহামারি শেষে ২০২২ সালে ফের শ্রমবাজার চালুর পর মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী। তবে কর্মী কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় ভিসা কিংবা ছাড়পত্র থাকলেও আজকের পর (৩১ মে) আর কোনো কর্মী দেশটিতে ঢুকতে পারবে না।
আগে থেকেই এমন ঘোষণা দিয়েছিল এশিয়ার দেশটি। তবে হাতে ৬ মাস সময় পেলেও বেঁধে দেয়া নিয়মের তোয়াক্কা করেনি জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। দেশটিতে কর্মী পাঠানোর চক্রে ছিল ২৫টি এজেন্সি। এরপর ধাপে ধাপে মোট ১০০ বেসরকারি এজেন্সি অনুমোদন পায়। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় সরকারি এজেন্সি বোয়েসেল।
এদিকে, বেঁধে দেয়া সময়সীমার শেষ দিনেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পেরে আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করছেন কয়েক হাজার কর্মী। সবাই অপেক্ষা করছেন কখন টিকেট নিয়ে আসবে রিক্রুটিং এজেন্সির লোকজন। অন্যদিকে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দাবি- শেষ সময়ে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সময় যত গড়াচ্ছে ততই আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে মালয়েশিয়ায় যেতে বিমানবন্দরে ভিড় করা কর্মীদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।