ভিডিও

আনার এমপিকে বালিশ চাপা দেয় তানভীর

প্রকাশিত: জুন ০৫, ২০২৪, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট: জুন ০৫, ২০২৪, ০২:১৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আনোয়ারুল আজীম আনার এমপিকে খুনের ঘটনায় আরও এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে হলো খুলনার শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া। 

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। সে আনোয়ারুলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যায় অংশ নেয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেপ্তার তানভীর ভূঁইয়া। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। এর আগের দিন সোমবার আদালতে জবানবন্দী দেয় আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তানভীর ভূঁইয়া আদালতকে বলেছে, তার চাচা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুলের পরিকল্পনায় গত ৬ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে সে কলকাতায় যায়। কলকাতার নিউটাউন ও সল্ট লেকের মাঝামাঝি ত্রিশিব নামক একটি হোটেলে ওঠে। ওই হোটেলে অবস্থান করে সে বিভিন্ন সময়ে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করে এবং শিমুল ভূঁইয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশ মতো কাজ করতে থাকে। জবানবন্দিতে তানভীর আরও বলে, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসেই আখতারুজ্জামান শাহিনের নির্দেশনা মতে শিমুল ভূঁইয়া এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার পরিকল্পনার ছক আঁটে। এমপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সর্বশেষ কলকাতা বিমানবন্দরের পাশে ওটু নামের একটি রেস্টুরেন্টে মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে আখতারুজ্জামান শাহিন ছিল। শিমুল ভূঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, জিহাদ, তানভীর, সিয়াম, শিলাস্তি রহমানসহ কয়েকজনও উপস্থিত ছিল। সেখানে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়।

তানভীর জানায়, শিমুল ভূঁইয়ার পরিকল্পনা মতে সবাই মিলেই এমপি আনোয়ারুল আজিমকে প্রলুব্ধ করে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় নেওয়া হয়। তবে কী বলে প্রলুব্ধ করা হয় তা সূত্রটি বলেনি। কলকাতায় তার বন্ধুর বাড়ি থেকেও কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনসের এক আবাসিক ভবনে আখতারুজ্জামান শাহিনের ভাড়া বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে খুন করে লাশ গুম করা হয়। তানভীর জানায়, অন্যান্যদের সঙ্গে তানভীর নিজে ওই ফ্ল্যাটে ছিল। ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর আনোয়ারুল আজিমকে অজ্ঞান করা হয় এবং তাকে হত্যা করা হয়। আনোয়ারুল আজিমের মুখে ও গলায় বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তানভীর।

এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে তানভীর ও শিলাস্তিকে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছে। জিহাদ নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার রয়েছে। সিয়াম নামের আরেক আসামি নেপালে আটক আছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS