অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের মোবাইল মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশের বিশেষ এক শাখা। আজ বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান হারুন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের জিডি’র পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি’র বিশেষ এক সাইবার ইউনিট মালয়েশিয়া থেকে সোর্স কাজে লাগিয়ে ধর্ম মন্ত্রীর হারানো ফোনটি উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, জামালপুরে সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিলে সেখান থেকে তার ফোনটি খোয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি জিডি করেন। পুলিশ নিয়মিত তদন্তের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া ফোন উদ্ধারে সাইবার ইউনিটকে দায়িত্ব দেয়। সারাদেশে ছোট-বড় ৮০টি চোরচক্র দামি ফোন চুরির সাথে জড়িত বলে শনাক্ত করেছে ডিবি। এর মধ্যে ঢাকায় ৫-৭টি দল সক্রিয়ভাবে কাজ করে। সারাদেশের সর্দার জাকির হোসেন। তার অধীনে মুন্না, রাসেল, কামরুজ্জামান ওরফে হিরোসহ আরও অনেক কুখ্যাত চোর কাজ করে। এদের প্রত্যকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। ধর্মমন্ত্রীর ফোনটি প্রথমে হাত বদল হয়ে চলে যায় চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটে।
ডিবি প্রধান হারুন আরও জানান, সারাদেশ থেকে মূলত দামি, ভিআইপি মোবাইলগুলো চুরি হওয়ার পর চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটেই জমা হয়। যেগুলো আনলক করা যায় না কিংবা আইএমইআই জটিলতা থাকে সেগুলো অল্প দামে দেশেই বিক্রি করে দেয় চোরচক্র। বাকি যেগুলো মোবাইল ফোন আনলক করা সম্ভব হয় তা দেশের বাহিরে বিশেষ করে পাশের দেশ ভারত হয়ে দুবাই, মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয় চড়া দামে। পুলিশের ডব্লিউবি প্রধান আশরাফুল্লাহ ৮-৯ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া মোবাইলটি মালোয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৮০-৯০টি দামি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রথমে চক্রের সদস্যরা ভিআইপি ও সমাবেশে থাকা লোকদের চারদিক থেকে ঘিরে রাখে এরপর সুবিধামত চুরি করে। চোরচক্রের বোরহান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি দামি মোবাইল চুরি করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।