মালয়েশিয়ায় যেতে না পেরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যেসব কর্মী যথাসময়ে দেশটিতে যেতে পারেনি তাদের ব্যাপারে দায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী একথা বলেছেন। সব প্রক্রিয়া শেষে ভিসা পাওয়ার পরও ১৭ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার ঘটনায় দায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পেরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আজ বুধবার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুর রহমান বলেন, 'আমাদের যে এগ্রিমেন্ট ছিল, তাতে (মালয়েশিয়ায় প্রবেশের) শেষ তারিখ ছিল ৩১ মে। সেটা ফুলফিল করতে গিয়ে মালয়েশিয়ান সরকারও চেষ্টা করেছে, আমরাও চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের ভিসা ইস্যু হয়েছে। হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আপিল করেছি, অন্ততপক্ষে যে ১৭ হাজার মানুষ ভিসা পেয়েছে, তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ ও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা আশা করছি, আমাদের অনুরোধ তারা রক্ষা করার চেষ্টা করবে।' আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলেও জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশন আজও বলেছে তারা সময়সীমা বাড়াবে না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অনুরোধ করছি। কারণ আমাদের গরিব যারা মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য অর্থ ব্যয় করেছে তারা যাতে যেতে পারে। 'আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটি ছয় সদস্যের তদন্ত দল গঠন করেছি। কমিটি বের করবে তারা কোন কারণে যেতে পারেনি, কী সমস্যা ছিল, কাদের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে? কমিটির মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আসবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব,' যোগ করেন তিনি। শফিকুর রহমান আরও বলেন, 'যাদের বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) কার্ড হয়েছে, যারা ই-ভিসা পেয়েছে, যারা আবেদন করেছে, তাদের ব্যাপারেও আমাদের মন্ত্রণালয়ে কনসিডার করবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নেব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।