পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বাড়তি জলবায়ু অর্থায়ন অপরিহার্য। বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গবেষণাগার হিসেবে চিন্তা করা যায়, কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সব ধরনের প্রভাব এখানে আছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের জলবায়ু দুর্যোগের ঘটনা বাড়ছে এবং এর তীব্রতাও বাড়ছে। এসব দুর্যোগ কৃষি, স্বাস্থ্য ও পানিসম্পদসহ বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চের (এসিআইআর) ম্যানেজার ড. ভেরোনিকা ডোরের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করে। এ সময় পরিবেশমন্ত্রী এ সব কথা। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো, যেমন-উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উত্তর অঞ্চলে মরুকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।
এসিআইআর’র জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ডোর বাংলাদেশের জলবায়ু প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি), জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন কৌশলগুলোর কথা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা স্বীকার করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সুদৃঢ় ভূমিকারেরও প্রশংসা করেন তিনি।
বৈঠকে আরও ছিলেন– অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহলা হোসেনি বাই, অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জর্জেট লিহ বার্নস, অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর), ভারতের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ড. প্রতিভা সিং এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।