চামড়া ব্যবসা নিয়ে কোনো সিন্ডিকেটকে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। পাশাপাশি পশুর হাটে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত সক্রিয় রয়েছে। অসুস্থ এবং মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো গরু পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও।
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কোরবানির পশুর চামড়া সিন্ডিকেটদের সতর্ক করে আরাফাত ইসলাম বলেন, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের আমরা সতর্ক করতে চাই। চামড়া ব্যবসা নিয়ে কোনো সিন্ডিকেটকে আমরা বরদাস্ত করব না। চামড়ার ব্যবসা নিয়ে যাতে কোনো এলাকার মধ্যে কোনো গোলমালের সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলবে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পথে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কেউ কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে। এরপরও র্যাবের সদস্যরা বিভিন্ন পশুবাহী গাড়ি থামাচ্ছে বলে ঢাকায় আসা অনেক পশু বিক্রেতা অভিযোগ করছেন।
সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন জানিয়ে র্যাব মুখপাত্র বলেন, হাটগুলোতে আমাদের কন্ট্রোল রুম রয়েছে, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে, রাস্তায় মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং টিম কাজ করছে। সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দারাও কাজ করছে। এছাড়া আমরা নিজেরাও এ হাট ব্যবস্থাপনা দেখছি। আমার মনে হয় আমাদের যে নির্দেশনা তা যথাযথভাবে পালন করছি।
অসুস্থ পশু হাটে আনলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আরাফাত ইসলাম বলেন, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক হাটে উপস্থিত আছেন। যেন অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত কিংবা মোটা-তাজা ওষুধ প্রয়োগ করা কোনো পশু বিক্রি করা না হয়। এছাড়াও এ ধরনের কার্যক্রম দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিসম্পদ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতাদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।
তিনি বলেন, গাবতলী পশুর হাটসহ প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় র্যাব সদস্যরা কাজ করছে। র্যাবের কন্ট্রোল রুম প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো ধরনের ভোগান্তি বা সমস্যায় পড়লে আমাদের কন্ট্রোল রুম অথবা র্যাব সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।
ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজধানীর সব মহল্লা ও রাস্তাঘাটে আমাদের টহল টিম এবং স্ট্রাইকিং টিম আছে। কোরবানির পশু নিয়ে অথবা পশু কিনতে হাটে যাওয়ার সময় রাস্তায় যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক আছি। তবে আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।