সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা গেছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর তিনটি বড় জাহাজ। দেখে মনে হচ্ছে এগুলো যুদ্ধ জাহাজ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত থেকে জাহাজগুলো দেশটির জলসীমায় অবস্থান করছে।
এদিকে রাতে থেমে থেমে গোলার বিকট শব্দ ভেসে এসেছে দ্বীপে। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার দিনে-রাতে টানা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভেসে আসে। এ অবস্থায় যুদ্ধ জাহাজ দেখে দ্বীপ ও টেকনাফ সীমান্তজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে দাঁড়ালে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের জলসীমায় তাদের যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আওতায় সেন্টমার্টিনের দ্বীপের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, ‘গতরাতে মিয়ানমারের ওপার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে থেমে থেমে গোলার শব্দ ভেসে এসেছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেটিঘাট থেকে মিয়ানমারের জলসীমায় দেখা যাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুলোর অবস্থান সেখানে রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানমার জলসীমায় কয়েকটি জাহাজ গত দুদিন ধরে অবস্থান করছে। শুক্রবার সকালেও সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে স্থানীয়রা এসব জাহাজ সাগরে দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে একে একে তিনবার বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোটে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় দ্বীপবাসীর মধ্যে আতংক দেখা যাচ্ছে। তাদের জলসীমায় একাধিক জাহাজ দেখায় নতুন করে আবারও আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন না ধরায় খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সবাই জানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। বিদ্রোহীদের দমনে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ তাদের জলসীমায় অবস্থান করে থাকতে পারে। তাদের জলসীমায় থাকলেও আমাদের উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের এপারে সবকিছু স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।