রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আযহা। গরু বেচাকেনা করে খুশি ব্যাপারীরা। হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা বেশি। কিছু গরু হাটে থাকলেও আকাশচুম্বী দাম চাচ্ছেন ব্যাপারীরা। ফলে বাজেটের মধ্যে গরু কিনতে পারছেন না ক্রেতা। গাবতলী পশুর হাটের অধিকাংশ খোঁয়াড় ফাঁকা।
রোববার (১৬ জুন) রাতে গাবতলী হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। হাটে কথা হলে রাজবাড়ীর রবিউল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, হাটে ২৮টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। এখন পাঁচটি গরু আছে, বাকিগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। প্রতিটি গরু ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছি। এর আগে দুইবার ধরা খেয়েছিলাম। আল্লাহ দিলে এবার ভালো হয়েছে।
হাটের প্রবেশপথে ক্রেতাদের ঢল। পছন্দের পশু কোরবানির দেওয়ার জন্য সবাই গরু খুঁজছেন। কিন্তু বাজেটের মধ্যে মিলছে না। তাদের মধ্যে একজন মিরপুর পল্লবীর ক্রেতা এরফান আলী। তিনি বলেন, গরুর দাম অনেক। কয়েকটি হাট ঘুরে এখানে এসেছি, গরু এবার সরবরাহ কম দাম বেশি।’
নগরীর কয়েকটি হাটে গরুর সংকট দেখা গেছে। এ জন্য গাবতলীর হাটে বেড়েছে ক্রেতা। এ সুযোগে অনেকে ভালো দামে গরু বেচাকেনা করেছেন।
বিক্রি শেষে বিশ্রাম নিচ্ছেন কুষ্টিয়ার হোসেন ব্যাপারী। তিনি বলেন, গত দুদিন ভালো বাজার গেছে। এবার লাভ হয়েছে আমরাও খুশি।’
অনেক ব্যাপারী গরু বেচাকেনা করে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছেন দলবেঁধে। সবার চোখমুখে আনন্দের ছাপ। তাদের মধ্যে একজন ঝিনাইদহের নওশাদ ব্যাপারী। তিনি বলেন, এবার আমরা খুশি। বাড়িতে সবার সঙ্গে আনন্দ করে ঈদ করবো।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।