রাজধানীতে গরু সংকট, নজর ছাগলে
শুরুর দিকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঈদের আগের দিন বেশিরভাগ হাটের গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের অনেকে ছাগল কেনায় মন দিয়েছেন। হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফলে বড় গরু ছাড়া মোটামুটি সবই বিক্রি হয়ে গেছে।
রাজধানীর তেজগাঁও, ধোলাইখাল, বসিলাসহ বিভিন্ন হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গাবতলীর হাটে এখন নতুন করে গরু আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার ও শনিবারে ধোলাইখাল হাটের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছাড়াও আশপাশের সব রাস্তায় গরুর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে রোববার (১৬ জুন) সকালের পর থেকেই অনেকটা ফাঁকা পশুর হাটটি। ক্রেতারা ছাগলের হাটে বেশি ভিড় করছেন। এদিকে বেলা একটার মধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে কলোনি বাজার হাট। অপ্রধান সড়ক থেকে মাঠ, গুটি কয়েক গরু ছাড়া তেমন পশু দেখা যায়নি। যা রয়েছে তাও বড় সাইজের গরু। পাশাপাশি তেজগাঁও হাটেও দেখা গেছে একই দৃশ্য।
এ বছর ঈদের আগেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গরুর সংকট হবে না, চাহিদার তুলনায় পশু বেশি আছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের কথার সঙ্গে রাজধানীর হাটগুলোতে মিল দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০টি নির্ধারিত হাটে বিপুল গরু, ছাগলসহ কুরবানির পশু এসেছে।
ক্রেতাদের বলছেন, আগে একা কুরবানি দেয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় ভাগে দিতেন। কিন্তু ভাগীদার ঠিকঠাক না পেয়ে গরুর বদলে অনেকেই ছাগল দিয়ে কুরবানি দিতে চাচ্ছেন। অনেকে আবার গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে ছাগলের দিকে ঝুঁকছেন। পুরান ঢাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গরুর দাম একটু বেশি। একটা গরু কেনার সামর্থ্য না থাকার পাশাপাশি ভাগে দিতে গেলেও আছে ঝামেলা। তাই এ বছর ছাগল দিয়ে কুরবানি দেয়ার ইচ্ছা।
এদিকে দাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শনিবার (১৫ জুন) রাতেই অনেক ব্যাপারী গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। রোববার (১৬ জুন) একাধিক খামারি ও ব্যাপারী জানান, এবার আতঙ্কের মধ্যে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন তারা। কারণ হাটে গরু উঠেছে অনেক। অন্যদিকে হাটে গরু কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। রোববার বিভিন্ন হাটে তিন মণ মাংস মিলবে না এমন গরুর দামও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাঁকা হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, সকালে দাম একটু কম ছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পর থেকে গরুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। মগবাজারের বাসিন্দা আব্দুল মমিন জানান, গতকাল যে গরু এক লাখ টাকায় কেনেননি, রোববারকে একই মানের গরু ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।