ডাক্তার সেজে গাইনি বিভাগে ঘুরছিলেন তিনি, ধরা পড়লেন হাতেনাতে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রিপা আক্তার (২০) নামে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চিকিৎসক নন বলে স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের গাইনি বিভাগ থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ঢামেক থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালে আটক রিপা আক্তারের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল থানার বউলতলী গ্রামে। তিনি বর্তমানে কামরাঙ্গীর চর এলাকায় থাকেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. মো. খালেকুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ওই তরুণী হাসপাতালের ২১২নং ওয়ার্ডের গাইনি বিভাগে সন্দেহজনকভাবে এপ্রোন পরা অবস্থায় ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নারী আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই তরুণী স্বীকার করেন তিনি ভুয়া চিকিৎসক। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে পুরাতন ভবনের ২১২নং ওয়ার্ডের গাইনি বিভাগে অভিযুক্ত ওই তরুণী এ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ঘোরাফেরা করছিলেন। প্রথমে তাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না তিনি চিকিৎসক নন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নারী আনসার সদস্য লুৎফা বেগমের সন্দেহ হলে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। পরে অভিযুক্ত ওই তরুণী স্বীকার করেন তিনি চিকিৎসক নন। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। আটকের পর জানিয়েছেন নিউমার্কেট থেকে তিনি এই এ্যাপ্রোন কিনেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।