সিলেট ও সুনামগঞ্জের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আজ শুক্রবার সিলেটে সুরমা নদীর পানি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুরমা নদীর অসমাপ্ত খনন কাজ দ্রুতই শেষ করা হবে। পাশাপাশি কুশিয়ারাসহ সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে। এটি করা হলে নদীগুলো বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বেশি ধারণ করতে পারবে। ফলে ভবিষ্যতে জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
আজ সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করলেও জেলার নিচু এলাকাগুলো এখনো জলমগ্ন রয়েছে। এ ছাড়া, জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, উপজেলাগুলোতে সুপেয় পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার চারশত আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
অপরদিকে, গতকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও হাওরের পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার থেকে কমে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শহরের অধিকাংশ সড়ক ও বাসা-বাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে, এখনও শহর ও গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত রয়েছে। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পূর্বাভাস দিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলাগুলোর বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গতদের অনেকে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।