পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতেও আলোচনা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
শনিবার (২২ জুন) ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তারা। একই দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতেও আলোচনা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে।
এদিকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি এদিন ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরকালে হায়দরাবাদ হাউজে দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আলোচনায় মূলত সংযোগ, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সামুদ্র সম্পদ, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রাধান্য পায়। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র অর্থনীতি ও সামুদ্রিক সহযোগিতা, রেলওয়ে, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, একাডেমিক সহযোগিতা, মৎস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।