ভিডিও

অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা : শেখ হাসিনা

উন্নয়ন-বন্ধুত্বের নবযাত্রা

তিস্তা নিয়ে আলোচনা করতে দ্রুতই একটি কারিগরি দল পাঠানো হবে : মোদি

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ১০:৫১ রাত
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৪, ১২:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় যার মধ্যে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনায় এসেছে। 
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় দেশের স্বার্থে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ডিজিটাল এবং সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছেন। 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উভয় দেশই একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের পথ দেখানোর জন্য ‘রূপকল্প ঘোষণা’ অনুমোদন করেছে। আমরা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘ডিজিটাল অংশীদারিত্ব’ এবং ‘সবুজ অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক দু’টি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করতে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরের পর গণমাধ্যমের সামনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতের কাছে প্রতিবেশীই প্রথম। আর সেজন্যই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশ এরইমধ্যে বড় বড় অনেক কাজ এক সঙ্গে করেছে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে একটি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো নির্মাণে ভারত সমর্থন ও সহযোগিতাও দিচ্ছে উল্লেখ্য করে মোদি বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদী দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত। বাংলাদেশে তিস্তা নদী সংরক্ষণে কী করণীয় রয়েছে, তা নিয়ে আলাপ করতে, শিগগিরই একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে। কাউন্টার টেরোরিজম, কট্টোরবাদ ও সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজে আপনাদের সহযোগিতা বড় নিশ্চয়তা দিয়েছে। 
এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১২টার কিছু আগে হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফটোসেশনের পর হায়দরাবাদ হাউজের নিলগিরি বৈঠক কক্ষে একান্ত বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে একান্তে কথা বলেন দুই সরকারপ্রধান। এরপর হায়দরাবাদ হাউজের গার্নার হলে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। যেখান থেকে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেগুলোর মধ্যে ৭টি নতুন আর পুরানো তিনটি সমঝোতা স্মারক নতুন করে নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
এর পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশি, বিশ^স্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দেয়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।’ 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দু’দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’ 
যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথ-চলা শুরু করেছে, সে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা এই দিন নতুন কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করেছেন। কিছু নবায়ন করেছেন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে কিছু যৌথ কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, দু’দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। 
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান আমাদের স্বাধীনতার এবং দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে তাঁর শেষ দ্বিপাক্ষিক সফর করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আমন্ত্রিত ‘অতিথি দেশ’ বাংলাদেশের নেতা হিসেবে নয়াদিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। 
তিনি বলেন, ‘এখন আমি এই একই ‘জুন’ মাসে অভূতপূর্ব দ্বিতীয়বারের মত নয়াদিল্লি সফর করছি।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসবই আমাদের এই দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।’ 
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদান করার জন্যে আমি ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত সরকার ও জনগণের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। 
নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ শেখ হাসিনার : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ সফর করার জন্য আবারও আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ (বক্তব্য) করছি। 
তিস্তা নিয়ে আলোচনা করতে দ্রুতই একটি কারিগরি দল পাঠানো হবে : মোদি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দুই দেশ এরইমধ্যে বড় বড় অনেক কাজ একসঙ্গে করেছে। আখাউড়া-আগরতলায় রেল লিংক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। খুলনার মোংলা পোর্টের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য পণ্য আমদানির সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এমন কী যৌথ চেষ্টায় রামপালে চালু হয়েছে, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। 
নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্যও চলছে। ভারত-বাংলাদেশকেই প্রথম পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে। এমন কী, আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নেপালের বিদ্যুৎও বাংলাদেশে যাবে ভারতের মধ্যে দিয়ে। এসব কাজ আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। 
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ দুই দেশ মিলে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। গ্রিন পার্টনারশিপ, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ব্লু-ইকনোমির মত বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যেতে সহমতে পৌঁছেছি আমরা। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী স্যাটেলাইট আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমাদের ফোকাসটা হলো-সংযুক্তি, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা। 
তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালের পর গত ১০ বছরে সংযুক্তিতে দুই দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এখন সময় ডিজিটাল আর এনার্জি কানেক্টিভিটি বাড়ানোর। এর মাধ্যমে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক গতিশীলতা আসছে। আমাদের আর্থিক সম্পর্ককে আরও ভালো করতে দুই পক্ষই কমপ্রিনহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট চূড়ান্ত করতে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। 
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে একটি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো নির্মাণে ভারত সমর্থন ও সহযোগিতাও দিচ্ছে। ৫৪টি অভিন্ন নদী দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত। বাংলাদেশে তিস্তা নদী সংরক্ষণে কী করণীয় রয়েছে, তা নিয়ে আলাপ করতে, শিগগিরই একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে। কাউন্টার টেরোরিজম, কট্টোরবাদ ও সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজে আপনাদের সহযোগিতা বড় নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। 
তিনি আরও বলেন, ভারত মহাসাগরের উন্নয়নে আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। বিমসটেকসহ অন্যান্য আঞ্চলিক-আন্তঃরাষ্ট্রীয় ফোরামগুলোতে আমরা একযোগে কাজ করবো। জনগণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবার সুবিধায় ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা চালু করছে ভারত। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের ভারত গমনের সুযোগ সম্প্রসারণে আমরা রংপুরে একটি উপ-হাইকমিশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হতে যাওয়া ম্যাচের জন্য দুই দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মোদি। 
নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উষ্ণ আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি লাল গালিচা বিছিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানান। এই সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়) রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদি তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরকে বেস্টন করে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত নিয়ে যায়। 
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এই সময় ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্টেশন লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সফরসঙ্গীদের মোদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। 
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো.হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান, স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহসহ তাঁর সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন। 
মহাত্মা গান্ধীর সমাধি সৌধে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা : ভারতে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শনিবার মহাত্মা গান্ধীর সমাধি সৌধে পৌঁছালে রাজঘাট সমিতি তাকে স্বাগত জানায়। পরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। ভারতের এ মহান নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি সমাধিতে ফুলের পাপড়িও ছিটিয়ে দেন। পরে তিনি পরিদর্শন বইয়ে সই করেন। 
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শেখ হাসিনার একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এটিই প্রথম। এর আগে শেখ হাসিনা গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে নয়াদিল্লি সফর করেন। 
ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী : ভারতে দুইদিনের সরকারি সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে তিনি শুক্রবার নয়াদিল্লি যান। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। ফ্লাইটটি রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS