প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে চীন সফরে যেতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওই সফর উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লি জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮-১১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর করবেন বলে আশা করছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক ক্ষেত্রে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সামনে প্রধানমন্ত্রীর সফরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে, সেটি আমরা প্রত্যাশা করেছি। আমরা এই সফরের দিকে তাকিয়ে আছি।
চীনা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে হাছান মাহমুদ জানান, চীন আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং বড় বাণিজ্য সহযোগী। আমরা বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চীন থেকে ইমপোর্ট করি প্রায় ১৩ বিলিয়ন। আর এক্সপোর্ট করি পৌনে এক বিলিয়ন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ব্যাপারে আমরা বলেছি, ওষুধ, চামড়া ও সিরামিক পণ্যগুলো তারা আমাদের থেকে নিতে পারে।
আমাদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল চীন সফরে যাচ্ছে বলেও জানান ড. হাছান। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা চেয়েছি। আমরা গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। এ ব্যাপারে চীনকে আমরা অ্যাকটিভ রোল প্লে করার প্রত্যাশা করি।
যেকোনো ফরমেটে বাংলাদেশকে ব্রিকসে যুক্ত হতে চীনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোনো ফরমেটে ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি হয় সেটা মেম্বার কান্ট্রি বা পার্টনার কান্ট্রি, যেটাই হোক। সেটা নিয়ে তাদের সমর্থন চেয়েছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।