গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে ডিসচার্জ (অব্যাহতি) আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেনের আদালতে এ মামলার চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা ডিসচার্জের আবেদনের আংশিক শুনানি করেন। তবে এদিন শুনানি শেষ না হওয়ায় আগামী ১০ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
২০২২ সালের ১৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে চার্জশুনানি শেষ হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।
এরপর অন্য আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবীরা।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকো পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।