ভিডিও

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে : ফখরুল

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০২:৩৩ দুপুর
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ফখরুল চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাস করে স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা বলে দাবি করে বলেন, সরকারের চালাকি ছয় মাস করে সাজা স্থগিত করা। তার মানে সাজা কমছে না। ভবিষ্যতে যখন তাদের প্রয়োজন হবে সাজা আবার যুক্ত হবে। এটা আরেকটা খেলা। আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি’র এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না। সরকার দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে এরা (সরকার)। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত, সংবাদ মাধ্যমকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। বেআইনিভাবে দখল করা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য।

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হচ্ছে, তার কোনোটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয় দাবি করে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সবক দেন, চুক্তি ও সমঝোতার পার্থক্য নাকি বুঝি না। শুধু একটা কথা বলব, দেশের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। এমন চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করবেন না, যেটা জনগণের স্বার্থবিরোধী। ভারত সফর থেকে এবার কী এনেছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। ভারত নাকি আমাদের কাছের বন্ধু। এত কাছের বন্ধু কিন্তু সীমান্তে গুলি করে নাগরিক হত্যা করে। এমন নজির বিশ্বে কোথাও নেই। সরকার আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলছে তাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যারা আসবে তাদের বরণ করে নেব। কিন্তু নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সেটা হতে দেব না।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। দেশ বিপদে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজিজ-বেনজীর-মতিউর সব শেখ হাসিনার প্রোডাক্ট। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি সব দেশের স্বার্থবিরোধী। জেল ও মৃত্যু অবধারিত, এগুলোকে ভয় পেয়ে কাউকে ছাড় দেব না। ঘরে বসে থেকে মার খেতে আর রাজি না।আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার তাদের ময়ূর সিংহাসন বজায় রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তাদের সিংহাসন থাকবে না। সরকার বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাসে পরিণত করেছে। শুধু স্লোগানে আটকে না থেকে, রাজপথে নামতে হবে।মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS