ভিডিও

আইনের আশ্রয় নেন না ৮৮ শতাংশ ভুক্তভোগী

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪, ০৪:০১ দুপুর
আপডেট: জুন ২৯, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

দেশে সাইবার অপরাধ বাড়লেও আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা কম। অপরাধের শিকার অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ হলেও মাত্র ১২ শতাংশ ভুক্তভোগী সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেন। বাকি ৮৮ শতাংশ ভুক্তভোগী আক্রান্ত হয়েও তা লুকিয়ে রাখেন। তার চেয়েও হতাশাজনক হলো, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন, তাদের ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশই আবার কোনো সুফল পাননি।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (২৯ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধপ্রবণতা ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়।

সাইবার অপরাধের শিকার ১৩২ জন ভুক্তভোগীর স্বপ্রণোদিত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিক্যাফ। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরেছে সংগঠনটি। গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিক্যাফের গবেষণা দলের প্রধান ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ আল মারজুক।

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের মানুষরা। আর ১৮ বছরের কম অর্থাৎ শিশুদের আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ ভুক্তভোগী ৩১ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই নারী।

এদিকে, অপরাধের ধরনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং। এ হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পর্নোগ্রাফি অপরাধ প্রবণতাও আশঙ্কাজনক। এ ধরনের অপরাধের হার ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই সামাজিক মর্যাদাহানির কথা বলেছেন। ৪৭ দশমিক ৭২ শতাংশ ভুক্তভোগী বলেছেন, তারা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে সামাজিক যে মার্যাদা ছিল তা হারিয়েছেন। এছাড়া ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ অপরাধের শিকার সবাই মানসিকভাবে কাতর ও চরম অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, সাইবার অপরাধে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিক্ষিত হলেও আইনের আশ্রয় নেওয়ার হার খুবই কম। মাত্র ১২ শতাংশ ভুক্তভোগী আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মাত্র ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ আর লিখিত অভিযোগ করেছেন ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS