ভিডিও

আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, চাকরি হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: জুলাই ০১, ২০২৪, ০১:১১ রাত
আপডেট: জুলাই ০১, ২০২৪, ০১:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে নিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে চাকরি হারালেন পুলিশ একাডেমি, সারদার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইয়াকুব হোসেন। এ কাজের জন্য পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রও গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
রোববার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর সার্কেলে দায়িত্বে ছিলেন। তখন তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিরপুর থানার সাবেক এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আব্দুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল, কনস্টেবল রানা ও কনস্টেবল অনিকের সমন্বয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে একটি দল গঠন করেন।
২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, পৌর এলাকার মোশারফপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা অবস্থান করাকে অবৈধ কাজের অভিযোগ তুলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তাদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছবিও তোলেন। পরবর্তীতে মিরপুর বাজারে বিকাশ ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আশরাফ পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিপরীতে অভিযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তী তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। অপরাধের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিসহ সার্বিক বিবেচনায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’ এর অভিযোগে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩ (খ) মোতাবেক ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS