হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হত্যার হুমকির ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুনিয়েছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীও মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের ক্যাপশনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেন, ‘গভীর মনোযোগ সহকারে শুনলেন আমার প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে। তিনি আবারও মানবিকতার উদাহরণ তৈরি করলেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের এমপি।’
আর স্ট্যাটাসের সাথে প্রকাশ করা ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যারিস্টার সুমন তার প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শুনছেন। এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভাড়াটে খুনিদের বিষয়ে থানার ওসির কাছ থেকে জানার পর শনিবার (২৯ জুন) রাতে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এ জিডি করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার আমার থানার ওসি আমাকে জানিয়েছেন যে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জানিয়েছে চার-পাঁচজনের একটা কন্ট্রাক্ট কিলার গ্রুপ আমাকে হত্যার কন্ট্রাক্ট করে আসছে। তাদের উপরে কিছু লোকজন আছে।’
অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি সিলেটি জানিয়ে তিনি বলেন, ওসি আমাকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের লিস্টে আমার নাম শোনার পর তিনি ওই জায়গা থেকে চলে এসেছেন। সবকিছু জেনে পরদিনই আমি সংসদে চলে আসি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করি।’
সুমন বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, ওসি সাহেব খবরটা পেয়েছেন দুদিন আগে। ওনার তো তৎক্ষণাৎ এসপি সাহেবকে জানানোর কথা। এসপি সাহেবের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা। আমার জিডি করা লাগল কেন?’
‘একমাত্র আইজিপি সাহেবের সঙ্গে কথা বলার পর দেখি উনি আমার মতোই চিন্তা করেছেন যে আমার তো জিডি করারই প্রয়োজন ছিল না। এটা পুলিশেরই ব্যবস্থা নেয়ার কথা,’ যোগ করেন তিনি।
‘আমার প্রশ্ন জাগছে: রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু কিছু মানুষ আসলেই চাচ্ছেন কি না, আমি বেঁচে থাকি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।