জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমির গুরুত্ব অনেক। তিনি বলেন, ‘ সামুদ্রিকসম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে সুনীল অর্থনীতি।’
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওশান প্রসপারিটি: ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ-১) মো. তারিক মাহমুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশনের সদস্য (সেক্রেটারি) ড. মো. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম এমপি এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৩ সালে প্রথম সামুদ্রিক গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছিলেন, যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং, সামুদ্রিকসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অতিরিক্ত মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতি খাতের সাফল্য পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারত্বের ওপর নির্ভর করে। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিলে একত্রে কাজ করলে সামুদ্রিকসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।
স্পিকার বলেন, সুনীল অর্থনীতির পরিপূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। তিনি বলেন, ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি উদ্যোগ জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি এধরনের কনফারেন্স আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
কনফারেন্সে বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।