বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের যে সংকট দেখা দিয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর এই সংকট কমে যাবে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুনীল অর্থনীতি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পার্শ্ব সেশনে আলোচনা শেষে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
সম্মেলনে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বনা করা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে যা শেষ হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠছে। গতবছর ৮০ হাজার টন ধারন ক্ষমতার কয়লার জাহাজও ভিড়েছে। এখানে এলএনজি টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল, এলপিজি, টার্মিনালের চিন্তা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সেখানে হাইড্রোজেন পাওয়ারের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ হবে। অনশোরে উইন্ড পাওয়া ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মিলছে, কেন্দ্রের সক্ষমতা অনুযায়ী। আমার ধারনা অফশোরে তা আরও বেশি হবে। জলবিদ্যুতে ভালো সম্ভাবনা থাকতে পারে। এজন্য পরীক্ষামুলক প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে।’
সমুদ্রের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘টেকসই ও উন্নত দেশ গড়তে সমুদ্র অর্থনীতি সুফল কাজে লাগাতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতো সুনীল অর্থনীতিকে সারাবিশ্বেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আমাদের গবেষণা, উদ্ভাবন, অংশীদারত্ব বাড়াতে হবে। মৎস্য থেকে পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়োটেকনোলজিসহ নানা খাতে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বিস্তার হতে পারে। এখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বড় বিনিয়োগ দরকার।’
সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম জানান, সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে। কারণ, এখানে শুধু বড় অংকের বিনিয়োগ নয়, উন্নত কারিগরি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ও গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় বলা হয়, দেশের উপকুলীয় এলাকায় ৩ কোটির বেশি মানুষ বাস করে। তাই দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে সমুদ্রসীমা। সম্মেলনে জানানো হয়, সমুদ্র অর্থনীতি বাংলাদেশকে প্রতিবছর ৬২০ কোটি ডলার জোগান দেয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।