সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।৮ জুলাই, সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ডাকা জরুরি বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুই মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। এতে আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকায় চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হছে। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ধানমন্ডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দফতর সম্পাদকের কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সেখানে যান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর কোটা বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এর আগে রবিবার (৭ জুলাই) একই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটার প্রশ্নে যে কথা বলা হচ্ছে, মেধাবী এবং কম মেধাবী নাকি জেলাভিত্তিক সেটা তো খুবই সাবজেক্টিভ বিষয়। একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা তো আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে যে কোনো ব্যক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়। কেননা, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। এটি নিয়ে রায় না আসা পর্যন্ত মন্তব্য করা আমার পক্ষে আদালত অবমাননার শামিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।