ভিডিও

শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ায় দুর্নীতিতে আমরা জড়িয়ে পড়ছি

প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০১:০২ রাত
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০২:১২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন


বর্তমানে দেশে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে, যেকারণে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, একে অপরের প্রতি রেস্পেক্ট আমাদের দেশে কমে গেছে। কারো কথা কেউ মানে না। যে কারণে একে অপরের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছি। এক বাহিনী অন্য বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর। যার ফলে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
তিনি বলেন, ২০১৪ ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে  আব্দুল কালাম একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। সেই প্রোগ্রামে তাকে একটি গ্রাইন্ডার উপহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে উপহারটি নিতে চাননি। অনেক রিকোয়েস্টের পর গ্রাইন্ডারটি নিলেও তিনি পরবর্তীদিন সেই কোম্পানিকে একটি চেক পাঠিয়ে টাকাটি ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু কোম্পানি তার চেক ভাঙ্গাচ্ছিল না। তখন সে তাদের বার্তা পাঠায় চেক না ভাঙালে তিনি উপহারটি ফেরত দেবেন। কারণ আব্দুল কালাম মনে করেন স্ উপহারের পেছনে কোনো স্বার্থ থাকে। তাই আমাদের বুঝতে হবে নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক বিশ্বের একজন বলিষ্ঠ নেতা। বঙ্গবন্ধু তার জীবনে বহু কথা বলেছেন। পৃথিবীর সব দেশের নেতা এ একই কথা বলেছেন। সেখানে অনেক মানুষ এ কথা শুনে সভ্য হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে আমরা সভ্য হতে পারিনি। আমরা অসভ্যতে পরিণত হয়েছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার আগে ৫টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। তখন তিনি এ মামলা হওয়ার পর জেল থেকে তার বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন আমাকে যেহেতু দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে আমি আর রাজনীতি করব না। এ কথা তিনি কষ্ট পেয়ে বলেছিলেন। পরবর্তীতে বিচারিক কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়াতে হাইকোর্টে তিনি সবগুলো মামলায় মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধুর মামলাগুলোর সব বিষয়ের কথোপকথন নিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রকাশনী চালু করা হয়েছে। সেখানে তার মামলার সব বিষয়গুলো আছে।
ওবায়দুল হাসান বলেন, কোনো ইবাদত কবুল হবে না যদি আপনার রুজি হালাল না হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষিত সমাজের দুর্নীতি নিয়ে সব থেকে বেশি চিন্তিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. হারুন- অর- রশিদ। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS