যারা কোটায় চাকরি পান তারাও মেধাবী, তবে একটু পিছিয়ে থাকা বলে মন্তব্য করেছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম আহমেদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম তখন দেখেছি, যার কোটায় আসে, আর যারা মেধায় আসে তাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। এই ধরেন যে মেধায় ফার্স্ট হয়েছে সে ৭০০ নম্বর পেয়েছে। আর যে কোটায় এসেছে সে ৬৩০ বা ৬৪০ পেয়েছে।
এরাও কিন্তু মেধাবী। কিন্তু একটু পিছিয়ে থাকা। কোটায় যারা আসে তারাও কিন্তু সব ধরনের পরীক্ষা দিয়েই আসে।’
কোটার নানা দিক নিয়ে নিয়ে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এ টি এম আহমেদুল হক চৌধুরী।
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন তো নিয়োগ দেয় না, সুপারিশ করে। তখন আমরা কোটায় যাদের সুপারিশ করেছি, কার্যক্ষেত্রে তো এখন তাদের দেখি কম যোগ্যতা দেখাচ্ছে না। তারাও ভালো করছে।
আমি কিন্তু তাদের মেধায় সন্তুষ্ট ছিলাম। যাদের কোটায় নিয়োগের সুপারিশ করেছি তারাও মেধাবী, আর যোগ্যতায় যারা এসেছে তারাও মেধাবী। যারা কোটায় এসেছে তারা হয়তো একটু পেছনে ছিল। নম্বর হয়তো একটু কম পেয়েছে। আমি দেখেছি, যারা মেধায় চাকরি পেয়েছে আর যারা কোটায় চাকরি পেয়েছে তাদের সবার মার্ক কিন্তু ৫০-এর মধ্যেই ছিল।
২০১৮ সাল থেকে কোটা না থাকায় আদীবাসী ও প্রতিবন্ধীরা বঞ্চিত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বঞ্চিত হয়েছে আদিবাসীরা। বঞ্চিত হয়েছে যারা শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তারা। আর বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তো এখন কারো চাকরির বয়স নেই। আর মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম ধরলে তাদের আমি বঞ্চিত মনে করব না। এটা নিয়ে একটা বিতর্কও থাকতে পারে।’
আমাদের তো ৫০ শতাংশ নারী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কম থাকে না। সে হিসাবে তো ২৫ বা ৩০ না নারীদের অংশগ্রহণ তো ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। কোটা থাকলে এই সংখ্যাটা আরো বাড়ত। এখনো কিন্তু আমাদের নারীদের বিরাট একটা অংশ গ্রাম থেকে উঠে আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।