কোটা সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশটির আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
এসময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের ভাইবোনেরা মাঠে নামা শুরু করেছে। আপনারা বিশ্বাস করেন কিনা ৫৬ শতাংশ কোটা উন্নত বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্দেশ্য করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদের আশাহত করেছে। আমরা আমাদের সব দাবি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভার কাছে উপস্থাপন করেছিলাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি গতকাল যা বলেছেন এতে আমাদের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যেই ফ্রেমিং-ই করা হোক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা তপ্ত দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে লড়াইয়ের জন্য আসিনি। আমরা এসেছি পড়াশোনা করার জন্য, তাই আমরা যেন পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি সরকারকেই সে ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জোর দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হতে থাকেন। শ্লোগান দিতে থাকেন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। ইডেন কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা বের হতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রীরা গেটে আটকে দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বের হয়ে ঢাকা কলেজসহ মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দুপুর সোয়া ১টায়। দুপুর দেড়টায় সমাবেশে যোগ দেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা-‘কে রাজাকার, কে রাজাকার? তুই রাজাকার, তুই তাজাকার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’, ‘তুমি নও, আমি নই, রাজাকার, রাজাকার‘, ‘আমি কে? রাজাকার?’, ‘জবাব চাই, দিতে হবে,’ ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, প্রত্যাহার করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।