কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জন নিহতের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ সংঘর্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত আরও দুজনের মরদেহ আসার খবর জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজনের নাম মোহাম্মদ। তাকে আজিমপুর থেকে আনা হয়েছে। অন্যজনের নাম নাজমুল। তাকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনা হয়েছে।
এদিকে নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাহমিদ তামিম (১৫) ও মো. ইমন মিয়া (২২) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ইমন এবং জেলা হাসপাতালে তাহমিদের মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম নগরেও সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন।
বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার হাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে তারা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের একজন পটিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র মোহাম্মদ ইমাদ (১৮)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিকেলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানিয়েছে।
এই ছয়জনকে নিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর গণমাধ্যমকে জানান, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। অপর দু’জনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এর আগে উত্তরায় পুলিশ ও র্যাব’র সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাদের একজনকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যান। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়া ধানমণ্ডিতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক পথচারী, যাত্রাবাড়ীতে এক রিকশাচালক, সাভারে এক শিক্ষার্থী ও মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।