রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের কার্যালয় সেতু ভবনে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলকারীরা হামলা ও লুট চালায়। আন্দোলনকারীদের ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে সেতু ভবনজুড়ে ক্ষতের চিহ্ন। ভবনের সামনে রাখা অর্ধশত গাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টানা তিনদিন বন্ধের পরে অফিস-আদালত খুললেও সেতু ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সেই সুযোগ নেই। ভবনের ভেতরে ঝুঁকি থাকায় সেতু ভবনের সামনের খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে বসেছেন তারা।
বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সেতু ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনে সারি সারি পোড়া গাড়ি। তার মাঝেই তাঁবু টাঙানো হয়েছে। তাঁবুর কাছের জটলায় গিয়ে দেখা যায়, তাঁবুর নিচে বসে আছেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার পাশে সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আছেন।
মন্ত্রী সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুরুল হাসানকে দিক নির্দেশনা দিয়ে সোয়া ১১টার দিকে চলে যান। পরবর্তীতে মনজুর হোসেন বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন আমরা বাইরে তাঁবুতে বসে আছি। এটাই আমাদের অফিস। ভবনের ভেতরে যাওয়ার অবস্থা নেই। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বাইরে বসেছি।
তিনি আরও বলেন, ভবন কতটা ব্যবহার উপযোগী সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতামত দিবেন। পুলিশের ক্রাইম সিন সংগ্রহ শেষে তাদের মতামত ও ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর আমরা ভবনের ভেতরে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
আগুনে সেতু ভবনের ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব মনজুরুল বলেন, এখনই ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এ কে শামীম আক্তারকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের কাজ শেষে প্রতিবেদন পেলে আমরা বলতে পারবো কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবনের ভেতরে ভাঙচুর ও আগুনে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত পুড়েছে। এতে দুই ফ্লোরে থাকা সেতু বিভাগের সব নথি পুড়ে গেছে। এছাড়া ভবনের পাঁচ তলা পর্যন্ত অবকাঠামো ক্ষতি ও মালামাল লুট করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।