সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ আজ সোমবার (৫ আগস্ট)। সকাল থেকে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে জড়ো হন অনেকে। কারফিউ উপেক্ষা করে জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে দিতে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে এক পথচারী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ১০ জন।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বেশ কয়েকজন। এসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ছোড়া হয় টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড। এতে উপস্থিত লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শাহবাগ থানা থেকে ৬-৭টি সাঁজোয়া যানসহ একদল পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যায়। এ সময় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়া লোকজনকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন তারা। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন বিনা প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকার কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। যারা কারফিউয়ের আইন ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ধৈর্য, সহনশীলতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ কোনো আন্দোলনকারী ছাত্রের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। অগ্নিসংযোগকারী ও পুলিশ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে। তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশ আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে।’
রোববার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।