শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে উৎসুক জনতা। এ কারণে পুরো এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সংসদ ভবন এলাকা পরিষ্কার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল ৫টার পর্যন্ত সংসদ ভবনের ভেতরে ও বাইরে মানিক মিয়া এভিনিউতে পরিষ্কার কার্যক্রম চালিয়েছেন তারা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রার শিক্ষার্থীরাও পরিষ্কার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেশ আমাদের, দেশ রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। কিছু মানুষ জেনে কিংবা না জেনে জাতীয় সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। তাই আমরা ছাত্রসমাজ পরিষ্কার কার্যক্রম চালাচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী হাতে হ্যান্ড গ্লাভস, ঝাড়ু, বেলচা ও কালো পলিথিন নিয়ে সংসদ ভবনের আশপাশের পরিষ্কার করছে। যদিও সংসদের মূল ভবন বন্ধ থাকায় ভেতরে পরিষ্কার করা যায়নি বলে জানান তারা।
এছাড়া উৎসুক জনতা সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে দক্ষিণ গেটে একদল শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেন। উৎসুক জনতাকে ভেতরে প্রবেশে বাধার পাশাপাশি বুঝানোর চেষ্টা করছেন তারা। বিকাল ৫টার দিকে সংসদের ভেতরের এলাকায় পরিষ্কার কার্যক্রম শেষ করে পরে দক্ষিণ প্লাজার সামনের সড়ক পরিষ্কার করেন শিক্ষার্থীরা।
নাঈম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও ব-র্তায় সংসদ ভবনে পরিষ্কারের আহ্বান জানান। এরপর সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, দুপুর থেকে এসে দেখি, অনেক স্বেচ্ছাসেবী পরিষ্কারের কাজ করছেন। আমিও পরিষ্কার শুরু করে দিলাম। কারণ এটা আমাদেরই সম্পদ।
লামিয়া নামে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি সকাল থেকেই এখানে পরিষ্কারের কাজ করছেন। আন্দোলন সফল হওয়ার পর পরিষ্কারের কাজটি বেশ আনন্দের সঙ্গেই করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা এখান থেকে গণভবনে যাবো। সেখানেও পরিষ্কার কার্যক্রম চালানো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।