বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, সরকার মানে দমন-পীড়নের যন্ত্র নয়। মানুষ মনে করে, সরকার মানে হলো ভয়ের কিছু।এর আগে আন্দোলনে সফলতার জন্য তরুণদের প্রতি সব প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।ড. ইউনূস এ নিয়ে বলেন, তরুণরা দেশকে রক্ষা করেছে, পুনর্জন্ম দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, সরকার বলে একটা জিনিস আছে। কিন্ত সেটার প্রতি মানুষের আস্থা নেই। মানুষ মনে করে সরকার একটা দমনপীড়নের যন্ত্র। এই যন্ত্র সকল স্তরে, যখন যেখানে যাকে পায়, তাকে কষ্ট দেয়। অর্থাৎ যাকে যেভাবে সামাল দিতে হবে সেভাবে সামাল দিয়ে চলে। এভাবে সরকার হতে পারে না। সরকার এমন হতে হবে, যাকে দেখে মানুষের মুখ ফুটে উঠবে, যে আমাকে সাহায্য দিন, রক্ষা করুন। আমাদের সরকার আগে দাঁড়ায় নাই কোনো সময়। এই সরকার হবে মানুষের আস্থার সরকার। যেন মানুষ সরকারি লোক দেখলেই মনে করবে, এই আমার লোক। আমাকে রক্ষা করবে, এই আস্থাটুকু মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে।বিমানবন্দরে ড. ইউনূস আরও বলেন, পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।
এর আগে ফ্রান্স থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফেরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।এদিকে রাত সাড়ে ৮টায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।