প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওবায়দুল হাসান। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন সকালে প্রধান বিচারপতি হঠাৎ ভার্চুয়াল ফুল কোর্ট সভা ডাকেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে প্রবেশ করেন তারা। মুহূর্তের মধ্যেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন সেখানে। খণ্ড খণ্ড মিছিল থেকে আর হ্যান্ড মাইকে বিচার বিভাগ সংস্কারসহ নানা দাবি জানান তারা।বিচার বিভাগকে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনকারীরা বলেন, এর পেছনে বিচারপতিদের দায় রয়েছে। অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের আদেশ দেওয়ায় ফলে দেশের অর্থনৈতিক যে ক্ষতি হয়েছে তার দায় প্রধান বিচারপতি এড়াতে পারেন না বলেও দাবি করেন আন্দোলনরকারীরা। সরকারের মদদে একের একের পর এক বিতর্কিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দেওয়ায় পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের। আইনজীবীরা সংহতি জানান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগসহ বিচার বিভাগের সংস্কার চান।
পরে অচিরেই প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের দাবি মেনে নেয়ার কথা জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। নথি যেন সুরক্ষিত থাকে সে জন্য দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানিয়ে সবাই শান্ত থাকতে বলেন তিনি। পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। বেলা ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।