ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার মিরপুরে মো. সিফাত হোসেন (২৬) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, ডিএমপি কমিনার হাবিবুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি এসএম জাহিদ, স্বপন বেপারী, আলমগীর, যুবলীগ নেতা মাহবুব, সরোয়ার হোসেন, রেজাউল হক ভূইয়া বাহার, রুহুল আমিন, হুমায়ুন রশিদ জহির, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন বিপুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা-১৪ সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৫ সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, মো: জিয়া, মো: জামান মিয়া মো. মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মিরপুর মডেল থানা মামলার এজহার হিসাবে মামলাটি গ্রহণ করে মামলাটি আদালতে পাঠান। এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জাকী-আল ফারাবী মামলার এজহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই মিরপুর-১০, ৯৮ সেনপাড়া এম.এস পাওয়ারের সম্মুখে হাজার হাজার ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। ঠিক সে সময় সিফাত হোসেন রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। বুলেট তার মাথার এক পাশ দিয়ে ডুকে অন্য পাশ দিয়ে বেড়িয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিরীহ গরিব মো. সিফাত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোন মামলা গ্রহন করেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।