সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটি না দেওয়ায় তর্ক করাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত হওয়া হাজারো পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে। সদর দপ্তরের প্রধান ফটকসহ দুটি গেইট বন্ধ করে আইজিপিসহ সব কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে অবস্থান নেন তারা। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতর থেকে চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অ্যাডিশনাল ডিআইজি কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে যিনি আইজিপি তিনি অতীতের কোনো আইজিপির মতো নন। তিনি আপনাদের দাবির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। আপনাদের দাবি তিনি শুনেছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চাকরি হারানোর নানা কারণ ছিল। কার কী কারণে চাকরি গেছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। অহেতুক কারো চাকরি গেলে অবশ্যই তারা চাকরি ফেরত পাবেন, তবে এজন্য একটা প্রসিডিউর রয়েছে। এজন্য আইজিপি মহোদয় আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে চান। তবে সবাই না গিয়ে আপনাদের মধ্য থেকে দুইজন প্রতিনিধি আইজিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন, আপনাদের দাবি উপস্থাপন করবেন। পরবর্তীতে আন্দোলনরত চাকরিহারা পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সদস্য পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়।
সেটি মেনে নেওয়া হলে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সমন্বয়ক দায়িত্ব নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আইজিপির সঙ্গে তাদের বৈঠক চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিচ্ছেন চাকরিচ্যুতরা। এতে করে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে সড়কে যান চলাচল স্থগিত হয়ে যায়।
এ সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দেন- আমার পোশাক ফিরিয়ে দে, নইলে বিষ কিনে দে; কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না; নির্বাহী আদেশে জব দিতে হবে, এক দফা এক দাবি মানতে হবে মানতে হবে; হই হই রই রই, বেনজীর গেলো কই; হই হই রই রই, মামুন গেলো কই; হই হই রই রই, হারুন গেলো কই; হই হই রই রই বিপ্লব-বাতেন গেলো কই; স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।