ভিডিও

আনসারদের কথা-কাজের ধরনই প্রকাশ করছিল উদ্দেশ্য ভিন্ন : সারজিস 

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৯:২৪ রাত
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২৪, ১২:২১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আনসারদের কথা ও কাজের ধরনই প্রকাশ করছিল তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বিগত ১ সপ্তাহ ধরে ঢাকার সরকারি ও প্রাইভেট অন্তত ২০টির অধিক হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে আমরা আমাদের আহত ভাইদের দেখেছি। ডাক্তার, রোগী, স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিতর ও বাইরের নানা গল্প জেনেছি। সেগুলো আমরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে জানাতে চাই। তিনি আমাদের কথাগুলো শুনতে আমাদের ডাকেন।

আবার আমাদের ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় যাওয়া ট্রাকগুলো কিংবা যে গাড়িগুলোতে ত্রাণ বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাম্পাসে আসছিল সেগুলোও ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারছিল না। তাছাড়া বন্যাকবলিত এলাকার নানা প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে কল ম্যাসেজ আসছিল ত্রাণের জন্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা, কার্যক্রম ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে যাই।

এই দুই বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাওয়ার সময় আমরা সচিবালয়ের চারপাশের রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ করে আনসারদের আন্দোলন দেখতে পাই। পরে এ বিষয়টিও আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানাই ৷ আমরা জানতে পারি আমাদের পূর্বেই আমাদের অন্য দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে যৌক্তিক সমাধানের আহ্বান জানান।


আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন সারজিস পরে আমাদের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ তাদের সঙ্গে কথা বলে তখনই আলোচনার আহ্বান জানান এবং ৭ সদস্যের একটি টিম নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ একাধিকবার আলোচনায় বসেন। তাদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে ধৈর্য ধরে যৌক্তিক সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু একটা গোষ্ঠী এসব আলোচনা মানতে চাচ্ছিল না।

তাদের কথা ও কাজের ধরনই প্রকাশ করছিল তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। না হলে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আলোচনার পরও সচিবালয়ে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখার যৌক্তিকতা কি? অথচ তখন তাদের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ের ভিতরেই ছিল।

যখন দেশের ২ বিভাগের প্রায় ১০ জেলায় লাখ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত তখন সেখানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা না করে রাষ্ট্রকে এভাবে অস্থিতিশীল করার কারণ কি? আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করতে চাই- পুলিশ কবে পুরোদমে মাঠে নামবে? সচিবালয়ে নিরাপত্তার এই অবস্থা কেন? ছাত্র-জনতাকে কেন যেতে হবে? আমার ভাইদের উপর গুলি কেন চললো? এই আর্মস আনসার পেল কোথায়?

পরিশেষে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো-

১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচার তো মুখ বুজে অনেক সহ্য করেছেন। এবার রাষ্ট্র গঠনের জন্য অন্তত কয়েক মাস ধৈর্য ধরুন। একটা সিস্টেম কয়েক দিনে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে পরিবর্তন হোন, পরামর্শ দিন, ধৈর্য ধরুন- অতঃপর প্রশ্ন করুন। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়বোই ইনশাআল্লাহ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS